শুক্রবার সকালে কুমিরটি পুকুরের কিনারায় মাটি খুড়ে ডিমগুলো পাড়ে।
নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় ইনকিউবেটরে রেখে ডিম থেকে কৃত্তিমভাবে বাচ্চা ফোটানোর চেষ্টা নিয়েছে বন বিভাগ। ডিম থেকে কুমিরের ছানা ফুটে বের হতে ৮৫ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
এর আগে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিন বছরে জুলিয়েট এবং পিপল নামে দুটি কুমির প্রজনন কেন্দ্রে ১৬৪টি ডিম পাড়লেও তা দিয়ে বাচ্চা ফুটাতে পারেনি বন বিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, ‘প্রজনন কেন্দ্রের কুমির জুলিয়েট পুকুর পাড়ে একে একে ৫২টি ডিম দিয়েছে। ডিমগুলো থেকে বাচ্চা ফোটানোর জন্য ইনকিউবেটরে নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় রাখা হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে ডিম থেকে ছানা ফুটে বের হতে ৮৫ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
প্রজনন কেন্দ্রের বয়স্ক পুরুষ প্রজাতির কুমির রোমিওকে তুলে নিয়ে সেখানে অন্য একটি পুরুষ কুমির ছাড়া হয়েছে বলে জানান আজাদ কবির।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বর্তমানে প্রজনন কেন্দ্রে ১৯৫টি কুমির রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি পূর্ণবয়স্ক এবং ১৮৯টি চার থেকে নয় বছর বয়স্ক। বিভিন্ন সময়ে প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেয়া ৯৭টি কুমির সুন্দরবনের নদী-খালে অবমুক্ত করা হয়েছে।
কুমিরের নতুন ৫২টি ডিম ইনকিউবেটরে রেখে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এবার এসব ডিম থেকে ছানা ফুটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিলুপ্তপ্রায় লবণ পানি প্রজাতির কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি ও লালন-পালনের জন্য সরকার ২০০২ সালে করমজল পর্যটনকেন্দ্রে কুমির প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তোলে। সুন্দরবনের নদী-খালে পাওয়া লবণ পানির পাঁচটি কুমির নিয়ে কেন্দ্রের প্রজনন কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৫ সাল থেকে রোমিও-জুলিয়েট নামের কুমির জুটি দিয়ে প্রজনন শুরু করা হয়েছিল।